Notice:

অরিজিনাল বায়ো স্প্রে প্লাস কিনতে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করুন। অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হবেন না। বিস্তারিতঃ 01742 095 986

Bio Spray Plus কি?

বায়ো স্প্রে প্লাস আসলে একটা ডায়াটারী ফুড সাপ্লিমেন্ট। যা মানব দেহের কোষ বিভাজনে সহায়তা করে ।

১) বায়ো স্প্রে প্লাস এর প্রধান কাজ হচ্ছে হিউম্যান গ্রোথ হরমোন ডেভেলপ করা। সাধারণত বয়স ২৫ এর আগে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ হিউম্যান গ্রোথ হরমোন উৎপাদিত হয় কিন্তু বয়স ২৫ এর পর থেকে প্রতি বছর ১.৪% মানে প্রতি ১০ বছর ১৪% করে কমে যেতে থাকে। যার ফলে আমরা ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হওয়ার দিকে ধাবিত হতে থাকি। কিন্তু বায়ো স্প্রে প্লাস হিউম্যান গ্রোথ হরমোন ডেভেলপ করে বৃদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াকে দেরী করাতে পারে।

২) বায়ো স্প্রে প্লাস এ রয়েছে ৪৮ প্রকার উপাদান এবং কোলস্ট্রাম লিকুইড। ৪৮ প্রকার উপাদান এর মধ্যে রয়েছে তিন প্রকার এন্টিবডি। যেমনঃ IgA, IgM, IgG. যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ, বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে প্রতিটি রোগ থেকে সুস্থতায় বায়ো স্প্রে প্লাস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৩) বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারে হরমোনাল সমস্যা সমাধান করে। বিশেষ করে নিচের ৯ টি হরমোন ইমব্যালেন্স হলে এগুলো ব্যালেন্স করে।
* এইচ জি এইচ
* মেলাটোনিন
* থায়রয়েড
* ইনসুলিন
* ডি এইচ ই এ
* এস্ট্রোজেন
* প্রজেস্টোরন
* টেস্টোস্ট্রেরন
* নাইট্রিক অক্সাইড
এই সমস্থ হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে যে সমস্ত রোগ হয়ে থাকে এরকম প্রতিটি রোগের জন্য বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহার করা হয় এবং ধীরে ধীরে রোগ মুক্তি করে।

Bio Spray Plus কি কি কাজ করে?

* রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিক রাখে।
* শরীরের কোষ উৎপাদন HGH (হিউম্যান গ্রোথ হরমোন) স্বাভাবিক রাখে।
* মাংসপেশী ও ত্বকের পুরুত্ব বাড়ায়।
* অগ্নাশয়ের (Pancreas) বিটাসেল কোষ সবসময় সক্রিয় রাখার মাধ্যমে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে।
* নিয়মিত বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়াবেটিকস প্রতিকার সহায়তা করে।
* ডায়াবেটিকস এর কারণে সৃষ্টি জটিল রোগ গ্যাংরিন (হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত পচন) দ্রুত শুকায়। নিয়মিত ব্যবহারে গ্যাংরিন উপশম হয়।
* কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্বি করে ফলে কিডনি লিভার জনিত জটিল রোগ যেমনঃ লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার, কিডনি ফেইলিওর, কিডনিতে পাথর, পাইলস, নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।
* স্তন, জরায়ু, ব্রেস্ট, ফুসফুস কোলন ও প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
* হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সঠিক রেখে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখে।
* হার্টের বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমনঃ হৃদরোগ, হার্টএ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
* বায়ো স্প্রে প্লাস নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে হার্টব্লক দূর হয়।
* যৌন হরমোন উৎপাদন করার মাধ্যমে যৌনশক্তি বৃদ্বি করে।
* বায়ো স্প্রে প্লাস নিয়মিত ব্যবহারে হাঁপানি বা এ্যাজমা রোগ প্রতিকার হয়।
* রক্তে কোলেস্ট্রোরল এর মাত্রা সঠিক রাখে, যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্ট্রোরল দূরীভূত হয়।
* শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়, যার ফলে বাড়তি মেদ কমে যায়।
* হাঁড় ও দাঁতের ক্ষয় রোগ ও গঠন প্রক্রিয়া সঠিক রাখে।
* শরীরের অভ্যন্তরে তারল্যের ভারসাম্যতা ঠিক রাখে।
* বিভিন্ন ধরনের বাত যেমনঃ জোড়াসন্ধির ব্যাথা, মাংসপেশির ব্যাথা, হাঁড়ের ব্যাথা, গ্যাস্টিক ও আলসার নিরাময় করে।
* হরমোন ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে পুরুষ/মহিলাদের হরমোন জনিত বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করে।
* অনিদ্রা রোগ দূর করে ও চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্বি করে।
* ব্রেইনের ক্ষয়রোধ করে, ব্রেইনের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং নার্ভাস সিস্টেমের কাজকে গতিময় করে।
ফলেঃ (ক) স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
(খ) স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস থেকে রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে
(গ) স্মৃতিশক্তি বৃদ্বি করে
(ঘ) অনিদ্রা দূর করে।
* হরমোন উৎপাদনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন তারুণ্য বা চেহারার লাবণ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
* চুল কালো করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
* শরীরের অকার্যকর হাওয়া দেহ কোষ পুনঃস্থাপন বা দেহ কোষ পুনঃজীবিত করে এবং কোষের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
* পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে, ফলে হজম শক্তি বৃদ্বি করে, গ্যাস্ট্রিক ও আলসার নিরাময় হয়।
* শরীরের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, এলার্জি ব্রণ, একজিমা দূর করে।
* পারকিনসন (হাত/পা কাঁপূনি) রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
* ডায়াবেটিকস প্রতিকারে বায়ো স্প্রে প্লাস অত্যন্ত কার্যকরী এবং ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি একটি আশীর্বাদ কারণঃ
(ক) প্যানক্রিয়াসের অকার্যকর বিটাসেল পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে
(খ) ইনসুলিন যথাযথ মাত্রায় উৎপাদন ভূমিকা রাখে
(গ) মাইক্রো ভাসকুলার জটিলতা যেমনঃ চোখ, কিডনি, করোনারি আর্টারি (হার্ট), ফুসফুস ইত্যাদি ভাইটাল অঙ্গ রক্ষায় বায়ো স্প্রে প্লাস অদ্বিতীয়।
* নার্ভাস সিস্টেমের কারণে সৃষ্টি বিভিন্ন রকম জটিলতা দূর করে যেমনঃ
(ক) মাংসপেশীর শিথিলতা বা ব্যাথা
(খ) মেরুদন্ডের ব্যাথা
(গ) অনিদ্রা
(ঘ) জয়েন্ট এর ব্যাথা ইত্যাদি দূর হয়।

Bio Spray Plus ব্যবহারের নিয়ম?

১) দৈনিক ২ বার গ্রহণ করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে প্রথম উঠার পর কোন প্রকার থুথু না ফেলে Bio Spray Plus গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তীতে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা উত্তম এবং রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে গ্রহণ করতে হবে।
২) সর্বাধিক ফলাফলের জন্য শয়নের পূর্বে খালি পেটে অথবা ব্যায়ামের পূর্বে Bio Spray Plus গ্রহণ করা।
৩) Bio Spray Plus উত্তমরূপে ঝাঁকিয়ে নিয়ে জিহ্বার নিচে গ্রহণের সাথে সাথে মুখ বন্ধ করতে হবে এবং ৩-৫ মিনিট পর মুখের মধ্যে টক টক মিষ্টি এক প্রকার জুসের মত অনুভূত হবে, তাহা গিলে ফেলতে হবে এবং আরও ৩-৫ মিনিট মুখ বন্ধ রাখার পর ৫০০-৬৫০মিলি পানি পান করতে হবে। অবশ্যই শ্বাস কষ্টের রুগীরা কুসুম গরম পানি পান করবেন। কোর্স চলাকালীন সময়ে প্রতি ঘন্টায় অল্প অল্প পানি পানি করা ভাল।
৪) নিয়মিত খাদ্য গ্রহণের কমপক্ষে 1:30 (দেড়) ঘন্টা পর Bio Spray Plus গ্রহণ করা এবং কমপক্ষে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কোন প্রকার খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।
৫) খালি পেটে রক্তে কম Glucose এবং পরিবাহিত মুক্ত ফ্যাটি এসিড কম থাকায় Bio Spray Plus পিটুইটারী গ্লান্ডের মাধ্যমে অধিকতর HGH হরমোন তৈরী করতে সক্ষম।

Bio Spray Plus গ্রহণের পরিমানঃ
১) জিহ্বার নীচে ১ম সপ্তাহে ৩ চাপ, ২য় সপ্তাহে ৪ চাপ, ৩য় সপ্তাহে ৫ চাপ (চলমান) গ্রহণ করা। ইহা সাধারণ রুগীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
২) শ্বাস কষ্ট, কিডনীর সমস্যা, গ্যাংরিন, পাইলস ইত্যাদি জটিল রোগী এবং অসুস্থ্য শিশুদের ক্ষেত্রে Expert দের পরামর্শ মোতাবেক Bio Spray Plus গ্রহণ করতে হবে।
Bio Spray Plus ব্যবহারে নিম্নে উল্লেখিত উপসর্গ দেখা দিতে পারেঃ
জিহ্বার নীচে ফোলা বা সাময়িক ঘা হতে পারে। মাথা ব্যাথা, জ্বর জ্বর বা বমি বমি ভাব অনুভূত হতে পারে। বর্তমানে যে রোগে আক্রান্ত তাহা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বা দেহের মধ্যে কোন সুপ্ত রোগ থাকলে তাহা প্রকাশ পেতে পারে সাময়িক সময়ের জন্য। ধৈর্যের সাথে ইহার ব্যবহারে কোন প্রকার Side Effect নেই। কারণ Bio Spray Plus উন্নত Bio Technology দিয়ে তৈরী একটি (ভেষজ ও প্রাণিজ) প্রাকৃতিক ফুড সাপ্লিমেন্ট।

বায়ো স্প্রে প্লাস এ ১০ প্রকার ভিটামিন এবং তাদের কাজঃ

1) Vitamin A
ইনফেকশন প্রতিরোধ করে, একে ইনফেকশন প্রতিরোধী ভিটামিন বলা হয়, এই ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঠিক উপাদান ঠিক রাখার জন্য ইপিথেলিয়াল সেল ও গ্লান্ড সমূহের মধ্যে কাজ করে। ইহা আমাদের দেখতে সহায়তা করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে, এই ভিটামিন আমাদের স্বাভাবিক বৃদ্বির জন্য খুবই দরকার। এটি একটি শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট।
2) Vitamin D
ইনটেসটাইন হতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সহায়তা করে এবং নতুন হাঁড় তৈরিতে সহায়তা করে, ইহা মানব দেহের হাঁড় ও কংকালের সঠিক বর্ধনে সহায়তা করে।
3) Vitamin B1
নার্ভ ও টিস্যুর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার জন্য প্রয়োজন, মানবদেহের স্বাভাবিক ক্ষুধা তৈরি করে ও খাবার হজমে সহায়তা করে। এটি কার্বোহাইড্রেট ভাঙ্গতে বা মেটাবলিজম করতে সহায়তা করে।
4) Vitamin B2
শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্বির জন্য খুবই প্রয়োজন, ইহা মানব দেহের প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম এ সহায়তা করে।
5) Vitamin C
ঘা শুকাতে সাহায্য করে, স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে এবং রক্তে আর বি সি এর পরিপূর্ণতার জন্য প্রয়োজন, এর কিছু পরিমাণ মেটাবলিক কার্যক্ষমতাও রয়েছে। ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে, ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট।
6) Vitamin E
মাংশপেশীর সঠিক কাজ, বাচ্চার সঠিক ও স্বাভাবিক বৃদ্বির জন্য প্রয়োজন, জীব দেহের প্রজননের জন্য ভিটামিন ই অতীব প্রয়োজন।
7) Vitamin K
মানব দেহের রক্তক্ষরন প্রতিরোধ করে, মানবদেহের রক্তক্ষরণের সময়কে কমিয়ে দেয়, প্রোথোম্বিনকে জমতে সহায়তা করে, ফলে রক্ত জমাট বেধেঁ রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়।
8)Vitamin B3
পাইরুভিক অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিডকে ভাঙতে সহায়তা করে।
9) Vitamin B6
কো এনজাইম হিসাবে কাজ করে এবং অ্যামাইনো এসিডকে ভাঙ্গতে সহায়তা করে।
10) Vitamin B12
রক্তে আর বি সি এর পরিপূর্ণতা ও গঠনে সহায়তা করে।
11) Folic Acid B9 DNA
আর বি সি এর পরিপূর্ণতায় সহায়তা করে। এটি পিউরন ও থায়ামিনকে ভাঙ্গতে সহায়তা করে। যা ডিএনএ তৈরিতে প্রয়োজন।

Human Growth Hormone (HGH) হিউম্যান গ্রোথ হরমোনঃ

শৈশবের শুরু থেকে সারা জীবনব্যাপী মানব দেহের মাথার পিছনে পিটুইটারী গ্লান্ড HGH নিঃসরণ করে। HGH নিঃসরণ যৌবন অবস্থায় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে এবং তারপর প্রতি বছরে ১.৪% কমে যায়। HGH এর গুরুত্বপূর্ণ কাজঃ

১) শৈশবের শারীরিক বৃদ্বির জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজন এবং ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত কংকাল বৃদ্বিতে সহায়তা করে।
২) নবজীবন আনয়ণ, চামড়ার পুরুত্ব বৃদ্বি, শক্তিশালী কংকাল ও পেশী গঠনের সহায়তা করে।
৩) হাড় এবং মাংসপেশিকে ডেভেলপ করে এবং লিভারকে সচল হতে সহায়তা করে।
৪) লিভার এবং শরীরের ফ্যাট বার্ণ করতে সহায়তা করে।
৫) যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্বি ও রোগমুক্তিতে ভূমিকা রাখে।
৬) অন্যন্য গ্লান্ডকে হরমোন উৎপাদনে Stimulate করা সহ বিভিন্ন অর্গানকে তার কাজে সহায়তা করে ইত্যাদি।
HGH কমে যাওয়ার ফলে যে সকল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ঃ
১) কারো কারো ক্ষেত্রে HGH এর নিঃসরণ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে তারা অকাল বার্ধক্যে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। যেমনঃ অকালে চুল-দাড়ি পেকে যায়।
২) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হ্রদপিন্ড, ফুসফুস, কিডনী ও লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
৩) এছাড়াও অন্যান্য গ্লান্ড হতে হরমোন নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়।
বায়ো স্প্রে প্লাস এ রয়েছে ৪ প্রকার এসেনসিয়াল অ্যামিনো এসিড। যা পিটুইটারী গ্লান্ড হতে এইচজিএইচ (HGH) উৎপাদন করতে সক্ষম।

মেলাটোনিন হরমোন (Melatonin Hormone)

রাত হলে আমাদের ঘুম আসে। সকাল হলে আমরা জেগে উঠি। আমাদের শরীর যেন নিজস্ব ঘড়ি দিয়ে সময় মেপে আমাদেরকে নানা রকমের কাজের কথা জানান দেয়। একটি হরমোন আছে, যা মানবদেহকে এই কাজে সাহায্য করে। মেলাটোনিন হলো সেই হরমোন।

মেলাটোনিন বা Melatonin হরমোনের কাজঃ
মেলাটোনিন হলো এমন একটি হরমোন যা প্রাকৃতিকভাবে মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্লান্ড দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং আমাদের ঘুম-জাগরণ চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের সারকেডিয়ান রিদমকে বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে। মেলাটোনিনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই সন্ধ্যায় বৃদ্ধি পায় এবং সকালে হ্রাস পায়, যা আমাদের শরীরকে সংকেত দিতে সাহায্য করে যে এটি ঘুমানোর সময়। যদিও Melatonin নিজে সরাসরি আমাদের ঘুম পাড়িয়ে দেয় না। এটি আমাদের শরীরকে জানান দেয় যে এখন রাত হয়েছে, এখন ঘুমানো প্রয়োজন।

মেলাটোনিন হরমোন এর ঘাটতি তে আমাদের শরীরে যে সমস্যা হতে পারেঃ
১) মানসম্মত ঘুম হয় না।
২) মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানষিক রোগ হয়।
৩) মানুষ বাক প্রতিবন্ধি হয়।
৪) মুখ দিয়ে লালা পড়ে।
৫) শরীরে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন জমা হয় এবং টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৬) শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল অপসারণ করতে পারে না। ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
৭) অবসন্নতা ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
৮) শরীরে দাদ, একজিমা হয় এবং অকালে চুল দাড়ি পেকে যায়।
৯) হাড়ক্ষয় জনিত রোগ হয়, নার্ভে ব্যাথা হতে পারে।
১০) বদহজম হয়, মন-মেজাজ অশান্ত হয়ে পড়ে।
১১) প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না।
কিছু ঔষধ আছে যাদের সাথে Melatonin বিক্রিয়া করতে পারে। এদের ভিতরে রয়েছেঃ
ঘুমের ঔষধ,রক্ত পাতলাকরণের ঔষধ,উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ,ওরাল কন্ট্রাসেপটিক,এন্টি ডিপ্রেসেন্ট ,ডায়াবেটিস এর ঔষধ,ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ড্রাগস
বার্ধক্য এবং মেলাটোনিনঃ
বয়সকালীন সময়ে আমাদের পিনিয়াল গ্লান্ড এর কর্মক্ষমতা হারায়, এর ফলে কমে আসে মেলাটোনিনের পরিমাণ। তাই বয়স্ক লোকদের অনিদ্রা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা।
মেলাটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধির উপায়ঃ
মেলাটোনিন হরমোন এর মাত্রা বৃদ্বির সবথেকে কার্যকরী উপার হচ্ছে "বায়ো স্প্রে প্লাস" গ্রহণ করা। যেটা পরিমিত মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় ব্যবহারের ফলে পিনিয়াল গ্লান্ড থেকে মেলাটোনিন উৎপাদন বেড়ে যায়। এবং নির্দিষ্ট সময় পর আর বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।

থাইরয়েড কি এবং এটি শরীরে কি কাজ করে?

থাইরয়েড একটি ছোট, প্রজাপতির আকারের গ্রন্থি যা গলার মাঝখানে অর্থাৎ ভয়েস বক্সের নিচে এবং শ্বাসনালীর(ট্রাকিয়া) চারপাশে আবৃত। এটি একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন তৈরির মাধ্যমে দেহের প্রায় সকল বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

থাইরয়েড রোগ কি?
থাইরয়েড রোগ হল থাইরয়েড গ্রন্থিকে সঠিক পরিমাণে হরমোন তৈরি করা থেকে বিরত রাখে।
থাইরয়েড গ্রন্থিতে খুব বেশি থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হলে শারীরিক বিপাকীয় প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়। এই অবস্থায় শরীর খুব দ্রুত শক্তি ব্যবহার করে। একে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে।
খুব দ্রুত শক্তি ব্যবহার করার ফলে হাইপারথাইরয়েডিজমে শরীরে ক্লান্তি অনুভূত হয়। এছাড়াও হৃৎস্পন্দনের হার বেড়ে যাওয়া, দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, এবং নার্ভাস হয়ে পরা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
এর বিপরীতে,যখন থাইরয়েড গ্রন্থি খুব কম থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে অর্থাৎ হাইপোথাইরয়েডিজম, তখন শরীরে শ্রান্তি আসে। এবং ওজন বেড়ে যাওয়া, ঠান্ডা তাপমাত্রা সহ্য না হওয়া, ডিপ্রেশন, ও ত্বক শুষ্ক হবার মতো আরো অন্য লক্ষণ ও উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়।
এই দুটি প্রধান ব্যাধি বিভিন্ন অবস্থার কারণে হতে পারে। এগুলি পরিবারের (উত্তরাধিকারসূত্রে) মাধ্যমেও প্রাপ্ত হয়।
এই দুটি ছাড়াও থাইরয়েডাইটিস, হাশিমোটো-এর রোগ, গ্রেভস রোগ, হাইপারফাংশনিং থাইরয়েড নডিউল প্রভৃতি থাইরয়েড গ্রন্থি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যায়।
থাইরয়েড এর ইমব্যালেন্স এর কারণের কি কি সমস্যা হতে পারেঃ
১)কোষ, টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে।
২)গলগন্ড ও টনসিলাইটিস রোগ হয়।
৩)অপ্রত্যাশিত ওজন বৃদ্বি বা হ্রাস হয়।
৪)অবশন্নতা ও মানষিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগে।
৫)উদ্বিগ্ন হওয়া এবং চেষ্টার পরও ঘুম না হওয়া।
৬)ভূলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
৭)যৌন ক্ষমতা হ্রাস ও প্রেগনেন্সি কমপ্লিকেশন হতে পারে।
৮)অনিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়া।
৯)হাত-পা জ্বালা, মাংশপেশী ও জয়েন্টে ব্যাথা এবং শরীরে পানি জমে যেতে পারে।
১০)উচ্চরক্তচাপ, লো-হার্টবিট, বেশী গরম অনুভব করা বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
১১)কন্ঠসর গভীর বা পরিবর্তন হওয়া।
১২)কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রায়ই পেট খারাপ হওয়া।
১৩)চুলপড়া ও চুলপাতলা হয়ে যাওয়া।
১৪)হৃদরোগ যেমনঃ হার্ট বড় হওয়া, হার্ট অকার্যকর হওয়া, বুক ধড়পড় করা।
১৫)ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, অমসৃন নখ দেখা যায়।
(সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা ১০ গুন বেশী থায়রয়েড সমস্যায় ভোগে।) থাইরয়েড রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
মালেশিয়ায় উৎপাদিত “বায়ো স্প্রে প্লাস” ব্যবহারের মাধ্যমে থাইরয়েড রোগ থেকে পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।

ইনসুলিন হরমোন (Insulin Hormone)

প্যানক্রিয়াসের “আইলেটস অব লেঙ্গার হেন্স” নামক বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন অত্যন্ত কার্যকরী হরমোন যা রক্তে Glucose এর বিপাকক্রিয়াকে নিয়মানুবর্তী করে এবং কোষের শক্তি বৃদ্বি করে।
ইনসুলিন এর ভারসাম্যহীনতায়-
* Glucose এর বিপাকক্রিয়াকে নিয়মানুবর্তি করতে পারে না।
* রক্তে অধিক মাত্রায় চিনির উপস্থিতি ঘটায় ফলে রক্তে Glucose এর ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত হয়।
* শরীরে প্রতিটি কোষই শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
* শরীরে অঙ্গ – প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে না। ডায়াবেটিকস কে সকল রোগের মা বলা হয়। ডায়াবেটিকস হলে কিডনি, লিভার, হার্ট , ব্রেইন, চোখ ইত্যাদি সকল অরগান রোগাক্রান্ত হয়।
বায়ো স্প্রে প্লাস ন্যাচারাল ভাবে প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন উৎপাদন করে।
ফলে যারা ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত তারা বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন।

DHEA Hormone (ডি এইচ ই এ হরমোন)

ডি এইচ ই এ বা ডি-হাইড্রো এপিয়ানড্রোস্টেরন হরমোন কিডনীর উপরে অবস্থিত এড্রেনাল গ্লান্ড হতে নিঃসরণ হয়। মানবদেহ দ্বারা উৎপন্ন সবচেয়ে সমৃদ্ব স্টেরয়েড হরমোন এই DHEA. এই হরমোন রক্ত সঞ্চালনের কাজ সহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি ও নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও পুরুষের টেস্টোস্টেরন এবং নারীর এস্ট্রোজেন হরমোনের সাথে যৌন শক্তি উৎপাদন এবং স্থায়িত্ব এই হরমোন ব্যবহৃত হয়।
DHEA Hormone এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাঃ
১) শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় যা পচন হতে রক্ষা করে।
২) HIV, AIDS সহ যে কোন ভাইরাসের বিরুদ্বে লড়াই করে।
৩) কিডনী ও লিভারের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্বি করে।
৪) শরীরের প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে ফলে প্রেসার লো বা হাই হয় না।
৫) Building up bone & muscle strength.
৬) Immune System কে শক্তিশালী করে।
৭) স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইজড রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে।
৮) ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ করে। কখনো কখনো দেখা যায় এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ব্যক্তি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হন।
৯) যে কোন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে।

এস্ট্রোজেন হরমোন (Estrogen Hormone)

এস্ট্রোজেন হরমোন হল একরকম স্টেরয়েড হরমোন। যা মহিলাদের প্রজনন অঙ্গের সঙ্গে জড়িত। মহিলাদের প্রজননতন্ত্র, মূত্রনালী, রক্তনালী, হাড়, ত্বক এবং স্তনের একাধিক কার্যকারিতায় প্রভাব রয়েছে এই এস্ট্রোজেন হরমোনের।
এস্ট্রোজেন হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় কম-বেশি থাকলে মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারে এস্ট্রোজেন হরমোন ব্যালেন্স করে এবং পরিপূর্ণ সুস্থতায় সহযোগিতা করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়-
১)মাতৃত্বের টিস্যু বিকাশে বিঘ্ন ঘটে।
২)মেয়েদের শরীরের পেশীর স্বাস্থ্য বর্ধনে স্থিতিস্থাপকতা সংরক্ষনে পরিমিত রস নিঃসরণে বাধাগ্রস্থ হয়।
৩)গাইনী সংক্রান্ত পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
৪)অনিয়মিত মাসিক, সাদাস্রাব এবং লিকুরিয়া রোগ হয়।
৫)হাত-পা কাঁপা ও জ্বালা-পোঁড়া রোগ হয়।
৬)মাথার চুল পড়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়।
৭)হাত-পায়ের তলা দিয়ে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে।
৮)জরাযু ও ব্রেস্ট টিউমার সহ ক্যান্সার হয়।
৯)মাথা ব্যাথা, মানষিক ভারসাম্যহীনতায় বাধাগ্রস্ত হয়।
১০)মুখে ব্রণ উঠে এবং ওজন বেড়ে যায়।
১১)মেয়েদের শরীরে কোমলতা ও লাবণ্যতা কমে যায়।
১২)এই হরমোন পুরুষের মধ্যে বেশী থাকলে পুরুষ মেয়েদের মতো আচরন করে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন(Testosterone Hormone)

পুরুষদের টেস্টিস গ্লান্ড থেকে এই হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন পুরুষদের যৌনজীবনকে পরিচালনা করে। পুরুষ হিসেবে বেড়ে উঠার প্রধান ভূমিকা রাখে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়-
১)পুরুষদের যৌন জীবন বিঘ্নিত হয়।
২)পুরুষের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের বর্ধনকে বাধাগ্রস্ত করে।
৩)পুরুষদের লোহিত রক্ত কণিকা তৈরীতে বিঘ্ন ঘটায়।
৪)সময়মত পুরুষের চুল,গোফ,দাঁড়ি গজাতে বাধাগ্রস্ত হয়।
৫)শারীরিক দূর্বলতা তৈরী হয় ও যৌন আকাঙ্ক্ষা লোপ পায়।
৬)আত্ন-বিশ্বাস ও স্বরণ শক্তি কমে যায়।
৭)মাথায় চুল পড়ে যায় এবং দ্রুত বৃদ্বি হয়ে যায়।
৮)মহিলাদের মধ্যে এই হরমোনের আধিক্য হলে গোফ-দাঁড়ি গজায়, ব্রণ হয়, ব্যাথাযুক্ত ঋতুস্রাব হয় এবং মহিলারা পুরুষ সূলভ আচরণ করে।
৯)এই হরমোনের নিঃসরণ ৬০% এর নিচে নেমে গেলে পুরুষও বাচ্চা জম্ম দিতে পারে না।

প্রজেস্টেরন হরমোন (Projesterone Hormone)

মেয়েদের ওভারি হতে এই হরমোন নিঃসৃত হয়। প্রজেস্টেরন হরমোন মহিলাদের প্রজনন সময়ব্যাপী জরায়ুর গর্ভধারণের প্রস্তুতি রচনা করে।
এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়-
১)ওভারি থেকে ডিম্বাণু রিলিজ বা পরিপক্ক হয় না।
২)অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়।
৩)যৌনচাহিদা কমে যায়।
৪)জরায়ুর ইনফেকশন হয় ও জরায়ু নিচে নেমে যায়।
৫)এই হরমোনের নিঃসরণ ৬০% এর নিচে নেমে গেলে মহিলাদের মা হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।

হাঁপানি

হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সংবলিত রোগ। কার্যত এটি শ্বাসনালির অসুখ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট। হাঁপানি এমন একটি অবস্থা যার ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। শ্বাসনালীতে বাধার কারণে ফুসফুসে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায় না, যার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়।
হাপানী কেন হয় ?
হাঁপানির কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।
* এ রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
* পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
* বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
* বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে।
* মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
* সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়।
* কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।
বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানি সম্পূর্ণ সুস্থ হয় ইনশাআল্লাহ্।

দেহ রোগাক্রান্ত হবার প্রধান কারণঃ

আমরা প্রধানত তিন ভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে থাকি।
১।জীবাণুর সংক্রমণঃ জীবাণুর সংক্রমণে যে রোগগুলো হয়ে থাকে, তাকে বলে জীবাণু ঘটিত রোগ। যেমনঃ টাইফয়েড, কলেরা, যক্ষা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, কভিড-১৯ ইত্যাদি।
* জীবাণু ঘটিত রোগ থেকে বাঁচার উপায়ঃ
ক) দেহের ইমিউন সিস্টেম বৃদ্বি করা। (এজন্য পুষ্টিকর খাবার অর্থাৎ সুষম খাদ্য গ্রহণ ও শরীরচর্চা করা আবশ্যক)
খ) স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
গ) সংক্রমিত ব্যক্তি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

*জীবাণু ঘটিত রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে যারাঃ
-ত্রুটিপূর্ণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ব্যক্তি।
-দূর্বল ইমিউন সিস্টেম আছে যাদের।
-ডায়াবেটিস এর রোগী।
-যারা বিভিন্ন Cronic Disease দ্বারা আক্রান্ত।
-হার্ট, কিডনী, লিভার, ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি।
২। মেটাবলিক রোগে আক্রান্ত হবার প্রধান কারণ সমূহঃ ত্রুটিপূর্ণ জীবন-যাপন, বিপাকীয় কারণে এবং সঠিক পুষ্টির অভাবে যে রোগ হয় তাকে মেটাবলিক রোগ বলে। যেমনঃ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, স্থুলতা, কিডনীরোগ ইত্যাদি।
প্রখ্যাত রক্ত তত্ত্ববিদ ডা. লিউপন্ড এর মতে, মেটাবলিক রোগের অন্যতম কারণ "রক্ত গাঢ় হওয়া এবং দূষিত হওয়া"।

* মেটাবলিক রোগ থেকে বাঁচার উপায়ঃ
ক) পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা।
খ) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
গ) অতিরিক্ত তৈল, চর্বি, গুরুপাক ও রাসায়নিক খাদ্য এড়িয়ে চলা।

৩। হরমোনাল ইমব্যালেন্স এবং এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের ক্রমাবনতিঃ
এন্ডোক্রাইন সিস্টেম শিশু অবস্থা হতে পরিণত বয়স পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সকল সিস্টেমকে সমন্বয়/ Co-ordinate করে এবং শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গানগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এছাড়াও মানুষের আবেগ-অনুভূতি, হাসি-কান্না, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ, প্রজনন প্রক্রিয়া, নারীদের ঋতুচক্র, হৃদযন্ত্রের স্পন্দন, শরীরের তাপমাত্রা, প্রেসার, ব্লাড সার্কুলেশন, খাবার হতে শক্তি উৎপাদন এবং তা সেল বা কোষে পৌঁছানো, নারী-পুরুষের শারীরিক তারতম্য ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সাধারণত ২০-২৫ বছর এর পর হতে Endocrine কার্যাবলি ক্রমশঃ হ্রাস পেতে থাকে, যার সরাসরি প্রভাব পরে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে এবং মানুষ বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলোঃ দুর্বল কর্মক্ষমতা, গাম্ভীর্যতা, ত্বকে ভাঁজ পড়া, যৌনকাঙ্খার অবনতি, মুটিয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি এবং স্মরণশক্তি লোপ পাওয়া ইত্যাদি। সুতরাং উপরিল্লিখিত লক্ষণগুলোর ক্রমাবনতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আমরা বার্ধক্যজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করে তারুণ্যতা ধরে রাখতে পারি।

বন্ধ্যাত্ব

প্রজনন ব্যবস্থার সমস্যার কারণে একজন ব্যক্তির গর্ভধারণে অক্ষমতাকে বলা হয় বন্ধ্যাত্ব এটি একটি মেডিকেল অবস্থা যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করে এবং এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, প্রজনন অঙ্গের অস্বাভাবিকতা, জেনেটিক কারণ, বয়স-সম্পর্কিত সমস্যা বা জীবনধারার কারণ।

বন্ধ্যাত্বের সাথে হরমোনের সম্পর্কঃ
বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যার জন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।নারীর ক্ষেত্রে থাইরয়ের হরমোন, প্রোল্যাকটিন হরমোন, এস্ট্রোজেন অথবা প্রোজেস্টেরন হরমোন এর ঘাটতি অথবা ইমব্যালেন্স হলে অনেক সময় বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন ঘাটতির জন্যও হতে পারে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব।

মুক্তির উপায়ঃ
হরমোন তৈরি হয় বিভিন্ন গ্লান্ড/গ্রন্থি থেকে। বায়ো স্প্রে প্লাস গ্রন্থিগুলো থেকে হরমোন তৈরি করতে সহযোগীতা করে এবং শরীরে হরমোন কে ব্যালেন্স করে। ফলে ৬-৭ মাস বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহারের ফলে নারী এবং পুরুষ বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বায়ো স্প্রে প্লাস এর মাধ্যমে কিভাবে গ্যাংরিন সুস্থ হয়।

গ্যাংরিন কি ? গ্যাংরিন বলতে বোঝায় আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে শরীরের কোনো অংশে টিস্যুর মৃত্যু।
প্রকারভেদ। তিনটি প্রধান প্রকার আছে:
শুষ্ক গ্যাংরিন -
রক্ত সরবরাহের অভাবের কারণে টিস্যু শুকিয়ে যায় এবং স্লো হয়ে যায়।
ভেজা গ্যাংরিন -
সাধারণত টিস্যু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হলে, টিস্যু আর্দ্র হয়ে যায় এবং ভেঙে যায়।
গ্যাস গ্যাংরিন -
একটি বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া (ক্লোস্ট্রিডিয়া) টিস্যুতে গ্যাসের বুদবুদ তৈরি করে।

গ্যাংরিন হওয়ার কারণ ?
পচনশীল ক্ষত বা গ্যাংরিন একটি গুরুতর ও সম্ভাব্য প্রাণঘাতী অসুস্থতা যা রক্ত সরবরাহের অভাবে দেহের কোনও অঙ্গের কলামৃত্যু হলে সংঘটিত হয়। কোন আঘাত বা সংক্রমণের ফলে অথবা রক্ত সঞ্চালনের কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগার ফলে এটি হতে পারে। পচনশীল ক্ষতের প্রাথমিক কারণ দেহকলাতে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া, যার ফলে কোষের মৃত্যু ঘটে। ডায়াবেটিস ও দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান পচনশীল ক্ষতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। চিকিৎসাঃ
এলোপ্যাথিতে গ্যাংরিন সারানোর তেমন কোন স্থায়ী চিকিৎসা না থাকায় সেটাকে বা আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। অথচ অধিকাংশ গ্যাংরিনই “বায়ো স্প্রে প্লাস” এর মাধ্যমে ভালো হয়ে যায়। তবে মনে রাখা জরুরি - এই সকল সমস্যার চিকিৎসার জন্য “বায়ো স্প্রে প্লাস” এর ব্যাপারে অভিজ্ঞ কাউকে প্রয়োজন। চিকিৎসা ঠিক ঠাক ভাবে হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ম্যাজিকের মতো রেজাল্ট দিয়ে থাকে যা দেখে আপনি হয়তো নিজেও অবাক হবেন।
বায়ো স্প্রে প্লাস এর মাধ্যমে কিভাবে গ্যাংরিন সুস্থ হয় ?
বায়ো স্প্রে প্লাস রক্ত জমাট বাধা এবং রক্তনালী ব্লক এর প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। অর্ধমৃত কোষ/টিস্যু কে সুস্থ করে তুলে এমনকি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্তান্ত হলেও বায়ো স্প্রে প্লাস এর মাধ্যমে সুস্থ হয়ে যায়। যেহেতু বায়ো স্প্রে প্লাস হিউম্যান গ্রোথ হরমোন ডেভেলপ করে তাই এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কোষ তৈরিতে সহযোগীতা করে ফলে গ্যাংরিন হয়ে যায় পরিপূর্ণ সুস্থ।

স্ট্রোক/প্যারালাইসিস থেকে সুস্থতায় বায়ো স্প্রে প্লাস কিভাবে কাজ করে।

স্ট্রোক হওয়ার কারণঃ
মস্তিষ্কের কোনও অংশে হঠাৎ করে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ব্রেন স্ট্রোকের মত ঘটনা ঘটে। মস্তিষ্কের কোষে তখন অক্সিজেন কম পরিমাণে পৌঁছায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম গেলেই দ্রুত কোষের মৃত্যু হয়। কোষের মৃত্যু হলেই তখন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের কর্মক্ষমতা হারায়। এমনকী হতে পারে মৃত্যুও। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অঞ্চলে হারিয়ে যায় নিয়ন্ত্রণ। ৮৫ শতাংশ স্ট্রোক হয় রক্তনালি ব্লক হওয়ার কারণে। মাত্র ১৫ শতাংশ স্ট্রোক হয় রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে। ইসকেমিক স্ট্রোকে রক্তনালি ব্লক হওয়ার কারণ হলো রক্তে কোলেস্টেরল বা খারাপ চর্বির আধিক্য। ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য, অলস জীবনযাপন, স্ট্রেস, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, হার্টের অসুখ থেকেও স্ট্রোক হতে পারে।

প্যারালাইসিস হওয়ার কারণঃ
প্যারালাইসিসের প্রধান কারণই হচ্ছে রোগীর স্নায়ু বা নার্ভাস সিস্টেম অকেজো হওয়া। স্নায়ুই মূলত মানুষের মাংসপেশিতে এক ধরনের বৈদ্যুতিক শক্তি প্রেরণ করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচড়া করতে সাহায্য করে। আর যখনই স্নায়ু বা নার্ভাস সিস্টেম অকেজো হয় তখন রোগী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—ব্রেইন স্ট্রোক, স্পাইনালকর্ড ইনজুরি, নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি। তাছাড়া মাংসপেশির রোগ মাসকুলার ডেসট্রপি হলেও প্যারালাইসিস হয়ে থাকে।

বায়ো স্প্রে প্লাস কিভাবে সুস্থ করে।
বায়ো স্প্রে প্লাস এ রয়েছে মোট ৪৮ প্রকার উপাদান। যার মধ্যে এল আরজেনিন, এল অরনিথিন, এল গ্লুটামিন এবং এল লাইসিন সহ রয়েছে ২২ প্রকার এসেনসিয়াল অ্যামাইনো এসিড যা মস্তিষ্কে নতুন কোষ/নিউরন তৈরিতে সহযোগীতা করে এবং মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়াও বায়ো স্প্রে প্লাস এ রয়েছেঃ
১০ প্রকার ভিটামিন(নিউরো ভিটামিন এবং ফলিক এসিডসহ)।
১০ প্রকার মিনারেল।
৩ প্রকার ইমিউনোগ্লোবিউলিন এবং
৩ প্রকার ন্যাচারাল গ্রোথ ফ্যাক্টর।
স্ট্রোক/প্যারালাইসিস থেকে সুস্থতায় বায়ো স্প্রে প্লাস ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক।

হার্ট ব্লক হতে সুস্থতায় বায়ো স্প্রে প্লাস

নাইট্রিক অক্সাইড যার বৈজ্ঞানিক নাম Endothelium derive relaxing factor যা আমাদের blood vessel এর surface এর endothelliul cell হতে নিঃসরন হয়। ১৯৯৮ সালে ৩ জন সায়েন্টিস্ট এই হরমোন আবিষ্কার করে medicine & Physiolog তে নোবেল অর্জন করে।
On October 12, 1998. The Nobel Assembly announced the award of the Nobel Prize in Medicine and Physiology to pharmacologists Robert Furchgott, Louis Ignarro and Ferid Murad. The Nobel Committee decided to award the prize for their discoveries concerning nitric oxide as a signalling molecule in the cardiovascular system.

নাইট্রিক অক্সাইড মূলত আর্টারিতে রক্ত চলাচলে পথকে পিচ্ছিল রাখা এবং কোন ধরণের ব্লক জমতে না দেয়ার কাজ করে থাকে। কিন্তু বয়সের সাথে কমতে থাকা এ হরমোন আর্টারির পিচ্ছিল ভাব কমিয়ে আনে ফলে তা আঠালো হয়ে যায়। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় ব্যবহৃত অতিরিক্ত লবন, সফট ড্রিকস নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করে।
এছাড়াও বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান আমাদের রক্তকে গাঢ় এবং দূষিত করে যা হার্ট ব্লক এবং অ্যাটাককে ত্বরান্বিত করে। এ অবস্থায় নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্বি করা সম্ভব হলে কোন ধরণের রিং বসানো বা বাইপাস সার্জারী ছাড়াই হার্ট ব্লক দূর করা সম্ভব, তবে এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী এমাইনো এসিড এল আরজিনিন যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে ভূমিকা রাখে। আর আশার কথা হলো বায়ো টেকনোলজিতে তৈরি হওয়া আমাদের এই Bio Spray Plus এ রয়েছে এল আরজিনিন যা ব্যবহারে কোন ধরণের অপারেশন ছাড়াই আল্লাহর রহমতে ৪-৬ মাসের ব্যবধানে হার্ট ব্লক দূর হয়।

ফুড-সাপ্লিমেন্ট এবং ডায়াটারি সাপ্লিমেন্ট কি?

ফুড-সাপ্লিমেন্ট হলো এমন কিছু পুষ্টি উপাদান যা খাদ্যকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এবং খাদ্যের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য খাদ্যে বাইরে থেকে যোগ করা হয় অথবা শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য গ্রহণ করা হয়।
পুষ্টি উপাদান কখনো ১টি আবার কখনো একাধিক মিশ্রণেরও হতে পারে। যেমন:
১। ভিটামিন’স,
২। মিনারেল’স এবং
৩। এমাইণো এসিড ইত্যাদি।

ডায়াটারি সাপ্লিমেন্ট:
ডায়াটারি সাপ্লিমেন্ট অনেক আকারে পাওয়া যেতে পারে- ক্যাপসুল, ট্যাবলেট, নরম জেল, লিকুইড অথবা পাউডার। এই সাপ্লিমেন্ট গুলো যেমন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে, অন্য দিকে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

সাপ্লিমেন্ট বিস্তারিত:
আমরা যা খাই তা থেকেই সব রকমের ভিটামিন, মিনারেল পাওয়া উচিত। কিন্তু তার থেকে এখন কম খাবারে কতো টুকু পুষ্টি আছে বা কতোটুকু ভেজাল আছে সেটা আলোচনা করাই বোধ হয় সহজ। ফল ও সবজিতে পেস্টিসাইড ছড়ানো, সয়েল কন্ডিশন খারাপ, স্টোরেজ এর সমস্যা তো আছেই। এমন কী আমরা যেভাবে রান্না করি , প্রিজারভেটিভ মিশাই, তাতেও খাদ্যগুন অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। অগত্যা আমাদের ভরসা সাপ্লিমেন্ট।খাবার থেকে যে পুষ্টি আমাদের পাওয়া উচিত কিন্তু আমরা পাইনা, সাপ্লিমেন্ট আমাদের সেটাই পূরণ করে। আমাদের লাইফ স্টাইল এখন এতটা যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে যে খাওয়া দাওয়া নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে আমরা অভ্যস্থ নই।

কী খেতে ভালো লাগে বা লাগেনা তা জানি কিন্তু খাবার টা কোথা থেকে আসলো , কীভাবে স্টোরেজ করা ছিল , রান্নার সময় ভালো ভাবে রান্না করেছিলো কিনা এসব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কই? সব মিলিয়ে যা হলো পেট ভরলো কিন্তু পুষ্টি বাকি থেকে গেল। এখন এরকম জীবন ব্যবস্থায় সাপ্লিমেন্ট কতটা জরুরী তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না।ভিটামিন এ, ই, ডি, সি, জিঙ্ক, ক্রমিউয়াম, ক্যালসিয়াম এর মতো মিনারেলস সাপ্লিমেন্ট আমাদের নিয়মিত দরকার। হার্টএটাক এর পর ভিট-ই খেয়ে বা ফ্র্যাকচার এর পর ক্যলসিয়াম খেয়ে লাভ কী? এগুলো কিউরাটিভ নয় প্রিভেন্টিভ মেডিসিন হিসেবে নেয়া উচিত। রি-কভার করার জন্য ভালো হলে ডেমেজ প্রিভেন্ট এ কতটা কাজ করবে ভেবে দেখুন। সুস্থ থাকার জন্য তাই সাপ্লিমেন্টস খাওয়া উচিত। আমাদের ডায়েট এ যা বাদ থেকে যায় আদতে কিন্তু সাপ্লিমেন্টস দ্বারা তাই পূরণ করা হয়।

খাদ্যের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্য বিশ্বের সর্বোশ্রেষ্ঠ ফুড সাপ্লিমেন্ট “বায়ো স্প্রে প্লাস (Bio Spray Plus)”। যা একই সাথে খাদ্যের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, সুস্থতা এবং রোগ নিরাময়ের জন্য সমানভাবে কার্যকরী।

Essential অ্যামিনো এসিড

Essential অ্যামিনো এসিড হল জৈব যৌগ যা আমাদের শরীরের কাজ করার জন্য প্রয়োজন।যা মূলত নাইট্রোজেন, কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন দিয়ে গঠিত। কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য উৎস থেকে আমরা এগুলো পেতে পারি।
অ্যামিনো এসিড কে প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।প্রোটিন, হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটার তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলির জন্য আমাদের এগুলো প্রয়োজন।এছাড়া আমাদের দেহে এমাইনো অ্যাসিড পেশী বৃদ্ধিতে ,উদ্দীপনা, কোলাজেন এবং ইলাস্টিন তৈরি করতে সাহায্য করে। আমাদের বিপাকটিও সঠিকভাবে কাজ করতে অ্যামিনো অ্যাসিডের উপর নির্ভর করে। এগুলি ব্যতীত আমরা খাবার হজম করতে এবং শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারবো না। প্রোটিন খাওয়ার পরে আমাদের শরীর এটিকে অ্যামিনো এসিডে ভেঙ্গে ফেলে এবং তারপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করে, যেমন পেশী তৈরি করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা।যদি আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড তৈরি করতে না পারে, তবে খাদ্যের মাধ্যমে সেগুলি পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

এরকম একটি সম্পূরক খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট হচ্ছে বায়ো স্প্রে প্লাস। বায়ো স্প্রে প্লাস বায়োটেকনোলজি প্রডাক্ট যাতে রয়েছে ৪ প্রকার Essential অ্যামিনো এসিডসহ মোট ২২ প্রকার অ্যামিনো এসিড এবং মোট ৪৮ প্রকার উপাদান।যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং মেটাবলিক রোগ থেকে সুস্থতায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

Bio Spray Plus এ ব্যবহৃত Colostrum এর মৌলিক কিছু কাজঃ

1. Boosting the Immune system (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্বি করে করা)।
2. Healing injuries (আঘাত নিরাময় করা)।
3. Repairing nervous system damage (স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি মেরামত করা)।
4. Improving mood & sense (মেজাজ ও বোধশক্তি উন্নতি করা)।
5. Slowing & Reversing Aging (বার্ধক্যকে ধীরগতি এবং বিপরীত করা)।
6. Agent for killing bacteria & fungus (ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিধন করা)।
7. Colostrum clears excess bilirubin (কলোস্ট্রাম অতিরিক্ত বিলিরুবিন পরিষ্কার করে)।
8. Promotes ligament & muscle healing (অস্থিবন্ধনী বা লিগামেন্ট এবং পেশী নিরাময় প্রচার করে)।

সর্বোপরি Colostrum এ রয়েছে ৪ ধরণের ফ্যাক্টরঃ-
1. Nutritional Factors (পুষ্টিকর ফ্যাক্টর)।
2. Immune Factors (ইমিউন ফ্যাক্টর)।
3. Growth Factors (গ্রোথ ফ্যাক্টর)।
4. Tissue Repair Factors (টিস্যু মেরামত ফ্যাক্টর)।